ভারতের মূল ভূখন্ডের, আদি সভ্যতার মানুষের কাছে গেরুয়া একটা শ্রদ্ধার রং। হিন্দুধর্ম আসলে কোনও ধর্ম না এটা একটা জীবনযাপন মাত্র, এই সব বিতর্কে না-গিয়েও বলা যায় যাঁরা নিজেদের হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে মনে করেন তাঁরা আজন্মকাল গেরুয়া রংকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে শেখেন। গেরুয়া যে ত্যাগ, তিতিক্ষা, সন্ন্যাস, ক্ষমার রং, তা মেনে নিতে কোনও কষ্ট নেই ভারতীয়দের। আপত্তিও নেই।
এখানে একটি প্রসঙ্গ না-চাইতেও উঠে আসে। ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস যে-রংটিকে গেরুয়া, ভাগবা, স্যাফ্রন বলছে এবং নিজেদের অর্গানাইজ়েশনের প্রতীকী রং হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেই রং স্যাফ্রন বা অরেঞ্জ হিসেবে অবশ্যই অভিহিত করা যায়, কিন্তু তাকে গেরুয়া বলা যায় কিনা এই নিয়ে আমার মতো অনেক লোকেরই সন্দেহ আছে। আর এই ধর্মীয়-রাজনৈতিক সংগঠনটি যদি ‘স্যাফ্রন’কেই নিজেদের প্রতীকী রং হিসেবে গ্রহণ করে থাকে তা হলে এই প্রশ্নটা তো উঠবেই যে ‘গেরুয়া’ই ‘স্যাফ্রন' কিনা এবং গেরুয়া আর স্যাফ্রন যদি আলাদা হয় তাহলে গেরুয়া রংটি যে-অর্থ বহন করে স্যাফ্রন রংও সেই একই অর্থ বহন করে কিনা! গেরুয়া রঙের সঙ্গে প্রজ্জ্বলিত অগ্নির রঙের মিল নেই। বরং অস্তমিত সূর্য শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যে-রং আকাশের গায়ে ছিটিয়ে দেয়, সেই লাল, গোলাপি, কমলার আভাটুকুও মুছে যাওয়া একটি সাদাটে পিচ রংকে
Bu hikaye Desh dergisinin January 02, 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin January 02, 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
অন্তর্নিহিত আন্তর্জাতিকতা থেকে বিচ্যুত
বাংলা ভাষার মতো আধুনিক ভাষার অসাধারণত্বে টিকে থাকতে গেলে একটা মন, মেজাজ এবং পরিকাঠামো দরকার। কিন্তু বাজার তো সেই পরিকাঠামো দিতে পারছে না।
বাঙালির বাংলাভাষা
কোনও জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিতে বলপ্রয়োগের অধিকার রাষ্ট্রের নেই। কোনও ভাষা বা সমাজেরও নেই। কিন্তু প্রতিদিন ভাষার মৃত্যু ঘটে। ভাষাভাষীর সংখ্যা যত হ্রাস পায়, ভাষা ততই মৃত্যুর পথে চলে।
হ্যামলেট
প্রযোজনাটির স্থানিক আর সাময়িক পরিবর্তন দর্শককে নিয়ে যায় দ্বিধা ও উন্মাদনার এক কারারুদ্ধ পৃথিবীতে।
ক্রীড়া রাজনীতি, প্রান্তিক ক্রীড়া
ক্রীড়াবিদের অপমানও অবজ্ঞার সম্মুখীন। হয়তো সে-ক্রীড়া প্রান্তিক বলে, হয়তো নারীর বলেও।
জীবিত ও মৃত
চমকের লোভে মানুষ নিজের মৃত্যু নিয়েও রসিকতা করতে শুরু করেছে। এই উল্লাস এক ব্যাধি। চমকের লোভে মানুষ নিজের মৃত্যু নিয়েও রসিকতা করতে শুরু করেছে। এই উল্লাস এক ব্যাধি।
কবিতার অর্থের ধ্বনি
মনের ভিতরে ও বাইরে ঘটে চলা সব বিশৃঙ্খলার প্রত্যুত্তরে ফ্রস্ট তাঁর কবিতায় বারবার গড়ে তুলেছেন অর্থ ও ধ্বনির সংহত রূপবান কাঠামো।
জীবনের অসমতল অনুবাদ
সমারসেট মমের গল্প উপন্যাসের ভাষা সুডৌল, কিন্তু সেই ভাষার আশ্রয়ে প্রকাশিত হয়েছে মলিন, বিমর্ষ, বিরূপ জীবনের প্রচ্ছদ।
অন্তরের যন্ত্রণার ঔপন্যাসিক
আস্তুরিয়াস-এর কলমে জাদুবাস্তবতার সঙ্গে পরাবাস্তবতার মিশেল ঘটে। অপার্থিব ঘটনা, স্বপ্ন, কল্পনায় থাকে প্রাচীন বিশ্বাস, ধর্মবোধ এবং রীতিনীতি।
বিস্মৃত বিভিন্নতার স্পর্শ
নবোকভ একজন সাহসী লেখক যিনি মানুষের মন এবং সমাজবাস্তবতার জটিল নানা বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবিয়ে তুলেছেন।
সৌন্দর্য ও বিষাদ
কাওয়াবাতার বিশ্বাস, শিল্পের সার্থকতার প্রাথমিক দর্শনই হল, যে-কোনও মামুলি উপকরণও হয়ে উঠতে পারে অপরূপ সৌন্দর্যের অংশ। whic