এক সময় পাহাড় ও জংগলে ঘেরা অপরূপ ভুটান ছিল বহির্বিশ্বের সঙ্গে একেবারেই যোগাযোগবিহীন। ১৯৫৮ সালে স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু গ্যাংটক থেকে নাথু-লা (গিরিপথ) হয়ে ভুটানের হা-লা এবং চেলে-লা উপত্যকাদু’টি পেরিয়ে, পৌঁছেছিলেন থিম্পুতে। তখন অবশ্য পথঘাট ছিল অত্যন্ত দুর্গম। রাস্তা বলতে তেমন কিছুই ছিল না। পরবর্তীকালে ভারত সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় ভুটানের সীমান্ত শহর ফুন্টশোলিং থেকে থিম্পু পর্যন্ত সড়কপথ তৈরি হলে, যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও খুলে যায় স্বৰ্গীয় সুষমায় ভরা এই পাহাড়ি দেশটির প্রবেশদ্বার। দিগন্তবিস্তৃত পাহাড়ে ঘেরা এই মনোরম দেশটি দেখব বলে, শিয়ালদা স্টেশন থেকে রাতের কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ধরে শুরু হয় আমাদের যাত্রা। পরদিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি, চালসা, মাল জংশন পেরিয়ে দুপুর নাগাদ পৌঁছে যাই হাসিমারা। সেখান থেকে ট্রেকারে, মাত্র আধঘণ্টায় ভারতের সীমান্ত শহর জয়গাঁ। বেশ জমজমাট জায়গা। এখান থেকে হাঁটাপথেই পড়ে ‘গেটওয়ে অফ ভুটান' বলে খ্যাত ভুটানের সীমান্ত শহর ফুন্টশোলিং। পাহাড়ের পাদদেশে ছিমছাম ঝাঁ-চকচকে এক অনন্য শহর।
শহরটির প্রবেশমুখেই রয়েছে একটি সুদৃশ্য কারুকার্যমণ্ডিত তোরণ। তোরণটি পেরিয়ে একটু এগোলেই ডান হাতে পড়ে ইমিগ্রেশন অফিস। ওখানে ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি ও নিজের দু'টি ছবি জমা দিয়ে সংগ্রহ করে নিই থিম্পু ও পারো ভ্রমণের অনুমতি। তারপর রাস্তা পেরিয়ে চলে আসি বিপরীত দিকের সুদৃশ্য পার্কটিতে। পার্কের মাঝখানে ভুটানিজ স্থাপত্যে তৈরি হয়েছে সুন্দর একটি প্যাগোডাধর্মী মন্দির।
তখন বেলা পড়ে এসেছে। অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভায় ভরে উঠেছে চারদিক। সেই মায়াবী আলো গায়ে মেখে, ঘুরে ঘুরে দেখি পার্ক ও মন্দিরটি। তারপর আঁধার একটু ঘন হয়ে এলে, ফিরে আসি হোটেলে। এই শহরের খুব কাছ দিয়েই বয়ে গিয়েছে তিব্বতে জাত আমো-চু বা আমো নদী। সমতলে এসে যেটি আমাদের কাছে পরিচিত হয়েছে তোর্সা নামে। তারপর বহু জনপদ পেরিয়ে মিলিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্রে।
পরদিন সকালে গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়ি একশো বাহাত্তর কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পারোর পথে। অবশ্য নিকটবর্তী ভুটান বাসস্ট্যান্ড থেকেও প্রতিদিন সকালে বাস যাচ্ছে ভুটানের নানা প্রান্তে
This story is from the February 29, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the February 29, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ভাল থাকার নেপথ্য বিজ্ঞান
নিজের মানসিকতা, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে সহজ হতে পারে চলার পথ। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে...
কিছু নতুন সৃষ্টি করার মধ্যে রয়েছে আনন্দ। আনন্দ ও সৃষ্টিশীলতা কী ভাবে সম্পৃক্ত? সৃষ্টিশীল মানুষেরা কেন অবসাদে ভোগেন? সাধারণ মানুষই বা কী ভাবে সৃষ্টিশীল হবেন? আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অভিরুচি চট্টোপাধ্যায়। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।
#আমার_মতন _সুখী_কে_আছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখো লাখো ফলোয়ার্স। সকাল হলেই নিয়ম করে চলছে হ্যাশট্যাগ ‘গুড ভাইবস ওনলি'র পোস্ট। কিন্তু সেই আনন্দঘন ছবিগুলো কি সত্যিই ভারসাম্য ফেরায় ‘রিল’ আর ‘রিয়াল’-এ? উত্তর খুঁজলেন অনিকেত গুহ।
এ ভাবেই খুশি থাকা যায়!
বাহ্যিক প্রাচুর্য এড়িয়ে আদৌ কি খুশি থাকা যায়? হ্যাঁ, সেটা সম্ভব। কিন্তু কী ভাবে তা হবে? সর্বাঙ্গীণ ভাবে ভিতর থেকে খুশি থাকার উপায় বাতলে দিলেন কগনিটিভ বিহেভিয়ার অ্যান্ড হ্যাপিনেস কোচ মধু পণ্ডিত। শুনলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
ঘরের মধ্যে বাড়ি
সম্প্রতি মঞ্চস্থ হল “থিয়েটার প্ল্যাটফর্ম’ প্রযোজিত নাটক ‘ঘরের মধ্যে বাড়ি’। দেখে এলেন পৃথা বসু
প্রকৃতির ইশারা এখনও না বুঝলে সে কিন্তু আমাদের আর সময় দেবে না,
লেখক ও পরিবেশপ্রেমী বিট্টু সেহগলএর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দেবলীনা অধিকারী।
গরমের আম-চরিত
গরমে পাতে আম থাকবে না তা আবার হয় না কি! কিন্তু এ যেন আমকে নতুন রূপে পাওয়া। মেন কোর্স, চাট, স্যালাড থেকে ডিজার্ট, ককটেল...আম দিয়ে নানা পদের সংকলন রইল সানন্দাতে।
গোল্ড বন্ড, না পিপিএফ বিনিয়োগ করবেন কোথায়?
গোল্ড বন্ড বা পিপিএফে বিনিয়োগে আগ্রহী? সাতসতেরো বুঝিয়ে বললেন ফিনান্স এক্সপার্ট শৈবাল বিশ্বাস। জেনে নিলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
A-Eye
রেটিনার সমস্যা থেকে ক্যাটারাক্ট সার্জারি, টেকনোলজির জোয়ারে ঘোর পালাবদল চোখের চিকিৎসায়। জানাচ্ছেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন অনিকেত গুহ।
A ফর অ্যাকসেসরিজ়
নতুন বছরে পুরুষের অ্যাকসেসরিজ ট্রেন্ডের খোঁজ দিচ্ছে সানন্দা।