তখন ১৯৬৮ সাল। তৈরি হল এক চলচ্চিত্র। নাম ২০০১: স্পেস ওডিসি। যার নায়ক এক স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার, হ্যাল ৯০০০। যে ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান ধ্বংস করে পৃথিবীকে রক্ষা করেছিল। সেখানেই দেখানো হয়েছিল, ১৯৯২ সাল নাগাদ রোবট মানুষের মতোই বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে, মহাকাশও পরিচালনা করবে তারাই। কিন্তু সে গুড়ে বালি! বাস্তবে এআইকে পেতে মানবজাতির লেগে গেল আরও অনেক বছর। তবে ২০২৪-এর শুরুতে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে, নয়ের দশকে না হলেও ১৯৬৮ সালের সিনেমার দৃশ্য বাস্তবে রূপ পেতে খুব একটা সময় হয়তো লাগবে না। তবে সব কিছুরই তো একটা শুরু থাকে। চলুন তাহলে দেখা যাক, সেই শুরুটা হয়েছিল কীভাবে।
শুরুর কথা ১৯৫০ সাল। প্রথম ইলেকট্রিক কম্পিউটার চালু হল। মানুষের বিস্ময়ের ঘোর তখনও কাটেনি। তার মধ্যেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ভবিষ্যতে রোবটের আবির্ভাব নিয়ে লেখা শুরু হয়ে গেল। যদিও সে লেখা কতটা বিজ্ঞানভিত্তিক, আর কতটা কল্পনাপ্রসূত, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যাই হোক, এ বিষয়ে ডার্টমাউথ সম্মেলনের উল্লেখ করতেই হয়। এই সম্মেলন হয়েছিল ১৯৫৫ সালে। সেখানে জন ম্যাকার্থি প্রথম ‘এআই’ বা ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স' শব্দটি ব্যবহার করেন। এই নিয়ে নানা রকম গবেষণাও করেন। ৮০ দশকে এই গবেষণা এক নতুন মাত্রা পায়। বিশ্ব সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভক্ত— ঠান্ডা যুদ্ধের এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর ‘স্মার্ট ট্রাক’ বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যার মূল কাজ ছিল শত্রুর চোখে ফাঁকি দিয়ে তাদের আস্তানায় প্রবেশ করা, গোপন খবর সংগ্রহ, বন্দি সৈন্যদের উদ্ধার করে নিরাপদে ফিরে আসা। ট্রাকটি তৈরি হলেও সে আর নিজের আস্তানায় ফিরে আসেনি। ফলে এই ধরনের গবেষণার উৎসাহে ভাটা পড়ে। যদিও বিশ শতক থেকেই প্রতিরক্ষা হোক বা দৈনন্দিন কাজ, সবেতেই এআইয়ের জয়জয়কার হবে। তবে সে তো আরও কয়েক দশক পরের কথা। -
This story is from the January 15, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the January 15, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ভাল থাকার নেপথ্য বিজ্ঞান
নিজের মানসিকতা, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে সহজ হতে পারে চলার পথ। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে...
কিছু নতুন সৃষ্টি করার মধ্যে রয়েছে আনন্দ। আনন্দ ও সৃষ্টিশীলতা কী ভাবে সম্পৃক্ত? সৃষ্টিশীল মানুষেরা কেন অবসাদে ভোগেন? সাধারণ মানুষই বা কী ভাবে সৃষ্টিশীল হবেন? আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অভিরুচি চট্টোপাধ্যায়। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।
#আমার_মতন _সুখী_কে_আছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখো লাখো ফলোয়ার্স। সকাল হলেই নিয়ম করে চলছে হ্যাশট্যাগ ‘গুড ভাইবস ওনলি'র পোস্ট। কিন্তু সেই আনন্দঘন ছবিগুলো কি সত্যিই ভারসাম্য ফেরায় ‘রিল’ আর ‘রিয়াল’-এ? উত্তর খুঁজলেন অনিকেত গুহ।
এ ভাবেই খুশি থাকা যায়!
বাহ্যিক প্রাচুর্য এড়িয়ে আদৌ কি খুশি থাকা যায়? হ্যাঁ, সেটা সম্ভব। কিন্তু কী ভাবে তা হবে? সর্বাঙ্গীণ ভাবে ভিতর থেকে খুশি থাকার উপায় বাতলে দিলেন কগনিটিভ বিহেভিয়ার অ্যান্ড হ্যাপিনেস কোচ মধু পণ্ডিত। শুনলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
ঘরের মধ্যে বাড়ি
সম্প্রতি মঞ্চস্থ হল “থিয়েটার প্ল্যাটফর্ম’ প্রযোজিত নাটক ‘ঘরের মধ্যে বাড়ি’। দেখে এলেন পৃথা বসু
প্রকৃতির ইশারা এখনও না বুঝলে সে কিন্তু আমাদের আর সময় দেবে না,
লেখক ও পরিবেশপ্রেমী বিট্টু সেহগলএর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দেবলীনা অধিকারী।
গরমের আম-চরিত
গরমে পাতে আম থাকবে না তা আবার হয় না কি! কিন্তু এ যেন আমকে নতুন রূপে পাওয়া। মেন কোর্স, চাট, স্যালাড থেকে ডিজার্ট, ককটেল...আম দিয়ে নানা পদের সংকলন রইল সানন্দাতে।
গোল্ড বন্ড, না পিপিএফ বিনিয়োগ করবেন কোথায়?
গোল্ড বন্ড বা পিপিএফে বিনিয়োগে আগ্রহী? সাতসতেরো বুঝিয়ে বললেন ফিনান্স এক্সপার্ট শৈবাল বিশ্বাস। জেনে নিলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
A-Eye
রেটিনার সমস্যা থেকে ক্যাটারাক্ট সার্জারি, টেকনোলজির জোয়ারে ঘোর পালাবদল চোখের চিকিৎসায়। জানাচ্ছেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন অনিকেত গুহ।
A ফর অ্যাকসেসরিজ়
নতুন বছরে পুরুষের অ্যাকসেসরিজ ট্রেন্ডের খোঁজ দিচ্ছে সানন্দা।