একটা ভ্রমণের গল্প দিয়ে শুরু করি। ঠিক ভ্রমণ নয়, ভ্রমণের পূর্বকথা। সেটাও অবশ্যই ভ্রমণের মধ্যে। ছেচল্লিশ বছর? নাকি সাতচল্লিশ হয়ে গেল? তাও মনে আছে অনেকটাই। আশ্বিন মাসের এক ঘর্মাক্ত সন্ধে। পুজো আসছে, গরম কমছে না। হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ধরে আমরা চলেছি। চলেছি না, ছুটেছি। মা আমাদের দুই ভাইয়ের হাত শক্ত করে ধরে রয়েছেন। এর ফলে আমাদের দৌড়টা ঠিক দৌড় হচ্ছে না, তিড়িং বিড়িং করে লাফানো হচ্ছে। আমাদের আগে ছুটছেন আমাদের ধুতি পাঞ্জাবি পরা বাবা। তারপরে দৌড়চ্ছেন আমাদের ঠাকুমা। বাষট্টি বা তেষট্টি বছর বয়সে তিনি যে এমন দৌড়তে পারেন কে জানত? ঠাকুমার হাত ধরে রয়েছে আমার এক মাসি। ঠাকুমা ক্ষণে ক্ষণে সেই হাত ঝটকা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন। এই বয়সেও তিনি যে কতটা দৌড়বিদ, সম্ভবত সেটাই প্রমাণ করতে চাইছিলেন। আমাদের পিছনে দৌড়চ্ছে বাবার এক ছাত্র। যতদূর মনে আছে, নাম সোমদেব বা ব্যোমদেব। এখন সোমদেবই ধরছি। সে কবিতা না গান লিখত। মাঝেমধ্যে বাড়িতে দেখেছি, বাবা পছন্দ করতেন। বয়সের হিসেব মতো তার দৌড়নোর কথা সবার আগে। বাবাকে সেরকম কথাও সে দিয়েছিল। “স্যর, কোনও চিন্তা করবেন না। স্টেশনে দৌড়োদৌড়ির সময় আমি সবার আগে থাকব।”
স্টেশনে দৌড়োদৌড়ি করতে হবে এ বিষয়টা নিশ্চিত। বাবা বলেই রেখেছিলেন, দৌড়তে হবে। ট্রেন টাইমের এক ঘণ্টা আগে গেলেও দৌড়তে হবে, পরে গেলেও দৌড়তে হবে।
আমরা রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম এই ভেবে যে, বেড়ানোর সঙ্গে দৌড়ঝাঁপও রয়েছে। সম্ভবত ছোটাছুটির ঝামেলা খানিকটা সামলানোর জন্যই বাবা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রকে আসতে বলেছিলেন। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, দৌড়ের সময় সে সবার পিছনে। পরে এই প্রসঙ্গ উঠলে বাবা থামিয়ে দিয়ে বলতেন, “আহা, সোমদেব হল কবি মানুষ, ও এসব ছোটাছুটি, গুঁতোগুঁতির সঙ্গে কখনও পাল্লা দিতে পারে?” মা খুবই রেগে যেতেন। বলতেন, “কবিরা গুঁতোগুঁতি করতে পারে না এ কথা তোমায় কে বলল? ওকে স্টেশনে নিয়ে যাওয়াটাই ভুল হয়েছে।' 0
This story is from the July 15, 2022 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 15, 2022 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
বঙ্গ-রঙ্গ
একবিংশ শতকের ‘কালচারাল’ বাঙালি কি নিজের জাত্যভিমান খোয়াতে বসেছে? অনুসন্ধানে উপমা মুখোপাধ্যায়।
গানের জগতে নতুন তারকা
একদম সাম্প্রতিককালে হিন্দি ছবির হিট গানের নেপথ্যে যাঁদের কণ্ঠ ও সুর, তেমনই কিছু নতুন প্রজন্মের শিল্পীকে নিয়ে প্রতিবেদন। সঙ্গে দুই তরুণ শিল্পীর সাক্ষাৎকার। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।
অথ পাতুরি কথা
পাতুরি ছাড়া নববর্ষের স্বাদ-সমাচার কিন্তু অসম্পূর্ণ! কালে কালে পাতুরির পদ হয়ে উঠেছে বাংলার খাদ্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সেই ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে নানা স্বাদের পাতুরি কিউরেট করলেন বিশিষ্ট শেফ-ওনার প্রদীপ রোজারিও। সাক্ষী, অনিকেত গুহ।
প্যাক আপ হয়ে গেলে আমি চরিত্রকে সেটেই ছেড়ে আসি”
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রিয়মণি। কাজ করেছেন পাঁচটি ইন্ডাস্ট্রিতে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই হিন্দিতে সাম্প্রতিক ‘জওয়ান’, আর্টিকল ৩৭০' বা ‘ময়দান'-এ ছাপ ফেলেছেন তিনি। কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।
বাংলার ব্রতচারী
গুরুসদয় দত্তের আদর্শে ঋদ্ধ বাংলার ব্রতচারীর ইতিহাস। ‘বিশ্ব-সভার উচ্চাসনে বাঙালিকে দেখতে চয়েছিলেন তিনি। কোথায় হারিয়ে গেল সেই গৌরবগাথা? সেই ঝুমুর, রায়বেঁশের ছন্দ? অনুসন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
নববর্ষের মৎস্যপ্রেম
ঝোল-ঝালের বাইরে কিছু চিরচেনা মাছের একটু অন্যরকমের রেসিপি রইল নতুন বছরের পাতে। সন্ধান দিলেন রুকমা দাক্ষী। লিখছেন দেবলীনা অধিকারী।
হবু কনেদের রূপচর্চা
এই বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বিবাহের দিনের সংখ্যা কম নেই। হবু কনেদের নিজের যত্ন নেওয়ার টিপস দিলেন বিউটিশিয়ান সুকন্যা দাস লালওয়ানি। শুনলেন দেবলীনা অধিকারী।
সুস্থ রাখবে 'অ্যাক্রোযোগা'
শরীর, মন ও সম্পর্কের সুস্থতা বজায় রাখতে আধুনিক সমাজ ভরসা রাখছে অ্যাক্রোযোগায়। জানালেন সার্টিফায়েড অ্যাক্রোযোগা ট্রেনার প্রদীপ মেহতা। শুনলেন শরীর, মন ও সম্পর্কের সুস্থতা বজায় রাখতে আধুনিক সমাজ ভরসা রাখছে অ্যাক্রোযোগায়। জানালেন সার্টিফায়েড অ্যাক্রোযোগা ট্রেনার প্রদীপ মেহতা। শুনলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
নারী ‘উদ্যোক্তা’ রানি রাসমণি
তিনি বাংলার মননে আজও ভাস্বর ‘রানি’ রূপে। রাসমণির জীবনের নানা দিক তুলে ধরলেন তন্ময় চক্রবর্তী।
দার্জিলিঙের দার্জিলিঙের এক চা-বাগানে
কমলালেবুর সুগন্ধে, চায়ের স্বাদে মাখামাখি এক মিঠে ভ্রমণের গল্প শোনালেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।