হোসপেট টানেল পেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই পথ হারালাম আমরা! চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ভরসা শুধুমাত্র গাড়ির হেড ল্যাম্প। রাইট টার্ন নিয়ে সঙ্কীর্ণ এই রাস্তায় ঢোকার সময়ই কু-ডেকেছিল মন। কিন্তু আমার কো-ড্রাইভার বন্ধু প্রবল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে পড়ল এই রাস্তাতেই। গুগল ম্যাপের উপর তার অগাধ ভরসা। ওর পিছু-পিছু আমাদের দ্বিতীয় গাড়িটাও। জনমানবশূন্য রাস্তায় কিছু দূর এগোতেই দু’পাশে শুরু হল লম্বা-লম্বা আখের খেত। গাড়ির আলো রাস্তা বেয়ে গিয়ে পড়ছে দু’ধারের আখ গাছের জঙ্গলে। হঠাৎ একটা শিয়াল দৌড়ে গেল রাস্তার এপার থেকে ওপারে। সে এক অদ্ভুত গা ছমছমে পরিবেশ। ম্যাপের নির্দেশে সেই পথেই এগোব নাকি নেব ইউ টার্ন, এই নিয়ে টানাপড়েন ও বিতণ্ডার মধ্যে আরও মাইলখানেক এগনোর পর, আখের খেত সরে গিয়ে ফুটে উঠতে লাগল একটা-দুটো টিনের চাল, মাটির বাড়ি। মিটমিটে হ্যারিকেন, লম্ফর আলো। কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলাম মনে। এবার নিশ্চয়ই কাউকে পাওয়া যাবে হাম্পির পথ জেনে নেওয়ার জন্য। অন্তত কোনও এক-দু’জনকে... ও মা! এ আবার কী, একজন-দু’জন নয়, এ তো গোটা কুড়ি লোকের জটলা! সাদা ধুতি, লুঙ্গির মতো করে পরা, তার উপর ফতুয়ার মতো দেখতে একটা কিছু। গায়ের রং কুচকুচে কালো। ওদের হাতের হাঁসুয়ার মতো অস্ত্রগুলো ঝিলিক দিয়ে উঠল হেড ল্যাম্পের আলোয়! ডাকাত? ‘হাম্পি’ দর্শনের আগেই সর্বস্ব খোয়াব নাকি! রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ যখন হাম্পি শহর থেকে ২০ কিলোমিটার বাইরে আমাদের নির্দিষ্ট হোটেলে পৌঁছলাম, তখন আমরা সকলেই প্রায় বিধ্বস্ত। বেঙ্গালুরু থেকে গাড়ি নিয়ে হাম্পির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ছিলাম দুপুর সাড়ে বারোটায়। ৩৬০ কিলোমিটার মতো পথ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। আমাদের লাগল প্রায় আট ঘণ্টা। ভুল রাস্তায় ঢুকে ‘ডাকাত দল’-এর খপ্পরে পড়া ছাড়াও হোসপেট (হাম্পির নিকটতম রেল স্টেশন) পেরনোর পরপরই একটা বিরক্তিকর ট্র্যাফিক জ্যামের মুখে পড়ি আমরা। মাঝ রাস্তায় ট্রাক উলটে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। ও হ্যাঁ, ‘ডাকাত দল’-এর কথাটা তো
This story is from the July 15, 2022 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 15, 2022 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
বঙ্গ-রঙ্গ
একবিংশ শতকের ‘কালচারাল’ বাঙালি কি নিজের জাত্যভিমান খোয়াতে বসেছে? অনুসন্ধানে উপমা মুখোপাধ্যায়।
গানের জগতে নতুন তারকা
একদম সাম্প্রতিককালে হিন্দি ছবির হিট গানের নেপথ্যে যাঁদের কণ্ঠ ও সুর, তেমনই কিছু নতুন প্রজন্মের শিল্পীকে নিয়ে প্রতিবেদন। সঙ্গে দুই তরুণ শিল্পীর সাক্ষাৎকার। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।
অথ পাতুরি কথা
পাতুরি ছাড়া নববর্ষের স্বাদ-সমাচার কিন্তু অসম্পূর্ণ! কালে কালে পাতুরির পদ হয়ে উঠেছে বাংলার খাদ্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সেই ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে নানা স্বাদের পাতুরি কিউরেট করলেন বিশিষ্ট শেফ-ওনার প্রদীপ রোজারিও। সাক্ষী, অনিকেত গুহ।
প্যাক আপ হয়ে গেলে আমি চরিত্রকে সেটেই ছেড়ে আসি”
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রিয়মণি। কাজ করেছেন পাঁচটি ইন্ডাস্ট্রিতে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই হিন্দিতে সাম্প্রতিক ‘জওয়ান’, আর্টিকল ৩৭০' বা ‘ময়দান'-এ ছাপ ফেলেছেন তিনি। কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।
বাংলার ব্রতচারী
গুরুসদয় দত্তের আদর্শে ঋদ্ধ বাংলার ব্রতচারীর ইতিহাস। ‘বিশ্ব-সভার উচ্চাসনে বাঙালিকে দেখতে চয়েছিলেন তিনি। কোথায় হারিয়ে গেল সেই গৌরবগাথা? সেই ঝুমুর, রায়বেঁশের ছন্দ? অনুসন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
নববর্ষের মৎস্যপ্রেম
ঝোল-ঝালের বাইরে কিছু চিরচেনা মাছের একটু অন্যরকমের রেসিপি রইল নতুন বছরের পাতে। সন্ধান দিলেন রুকমা দাক্ষী। লিখছেন দেবলীনা অধিকারী।
হবু কনেদের রূপচর্চা
এই বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বিবাহের দিনের সংখ্যা কম নেই। হবু কনেদের নিজের যত্ন নেওয়ার টিপস দিলেন বিউটিশিয়ান সুকন্যা দাস লালওয়ানি। শুনলেন দেবলীনা অধিকারী।
সুস্থ রাখবে 'অ্যাক্রোযোগা'
শরীর, মন ও সম্পর্কের সুস্থতা বজায় রাখতে আধুনিক সমাজ ভরসা রাখছে অ্যাক্রোযোগায়। জানালেন সার্টিফায়েড অ্যাক্রোযোগা ট্রেনার প্রদীপ মেহতা। শুনলেন শরীর, মন ও সম্পর্কের সুস্থতা বজায় রাখতে আধুনিক সমাজ ভরসা রাখছে অ্যাক্রোযোগায়। জানালেন সার্টিফায়েড অ্যাক্রোযোগা ট্রেনার প্রদীপ মেহতা। শুনলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
নারী ‘উদ্যোক্তা’ রানি রাসমণি
তিনি বাংলার মননে আজও ভাস্বর ‘রানি’ রূপে। রাসমণির জীবনের নানা দিক তুলে ধরলেন তন্ময় চক্রবর্তী।
দার্জিলিঙের দার্জিলিঙের এক চা-বাগানে
কমলালেবুর সুগন্ধে, চায়ের স্বাদে মাখামাখি এক মিঠে ভ্রমণের গল্প শোনালেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।