সেই আদিম যুগে, যখন সভ্যতার চিহ্ন মাত্র ছিল না, তখন থেকেই মানবজাতি খাদ্য হিসেবে ছোট-বড় তৃণভোজী প্রাণীর মাংস গ্রহণ করে আসছে। তারা শিকারের ছবি এঁকেছে গুহার দেওয়ালে! সেই ছবি সভ্য মানুষের কাছে বিস্ময়। ক্রমে ক্রমে চাষবাস শেখার পর বদলেছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস। তবে মাংস প্রীতি খুব কমেনি। এমনকী খাদ্যের চাহিদা পূরণে শুরু হয়েছে মুরগি চাষ, বড় প্রাণীর খামার তৈরি। ভারতে অবশ্য কিছু রাজ্যে সম্পূর্ণ নিরামিষ খাদ্য গ্রহণের চল রয়েছে। তবে দেশের বেশিরভাগ প্রান্তেই বিশেষ করে বাঙালিরা ছাগ মাংস বা পাঁঠার মাংসের পদ খুবই পছন্দ করে। বিদেশে আবার ভেড়া এবং অন্যান্য বড় পশুর মাংস খাওয়ার রেওয়াজ বেশি। বড় পশুর মাংস অর্থাৎ ছাগল, পাঁঠা, ভেড়ার মাংস বা তার চাইতে বড় তৃণভোজী প্রাণীর মাংস ‘রেড মিট’-এর অধীনেই পড়ে। পাঁঠা হোক বা খাসি, ‘গোট মিট’ মাত্রই তা রেড মিট। ছাগ মাংসকে ‘রেড মিট’ বা ‘লাল মাংস’ বলার কারণ, মুরগি বা পাখির মাংসের তুলনায়, এই মাংস একটু বেশিই লাল প্রকৃতির। মূল ব্যাপারটা হল, মাংসে ‘মাইওগ্লোবিন' নামে এক বিশেষ প্রোটিন থাকে। এই কারণেই মাংসের রং লাল দেখায়। মুরগির মাংসের তুলনায় ছাগ মাংসে মাইওগ্লোবিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। তাই ছাগ মাংসের বর্ণও হয় লাল। রেড মিট খাওয়া ভালো কি খারাপ তা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। তবে একটা বিষয় জেনে রাখা দরকার যে নিয়মিত মাংস খাওয়ার কিছু সুফল এবং কুফল উভয়ই রয়েছে।
প্রথমত পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন মেলে মাংস থেকে। এছাড়া মাংসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিডের কারণেই শরীরে পেশি তৈরি হয়। নার্ভ টিস্যু, কার্ডিয়াক টিস্যু এবং বিভিন্ন অঙ্গের কোষ গঠনে অ্যামাইনো অ্যাসিডের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মোটকথা, শরীরের গঠনের জন্য যা যা কিছু দরকার, তা তৈরি হয় অ্যামাইনো অ্যাসিড দিয়ে।
এছাড়া মাংসে থাকে জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। বিশেষ করে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স-এর সব উপাদান পাওয়া যায় মাংসে। খনিজের মধ্যে আয়রন, জিঙ্ক এবং ফসফরাস পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে।
This story is from the 6 May 2023 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 6 May 2023 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শিরদাঁড়ায় ব্যথা মানেই অপারেশন নয়
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কল্যাণে চিরস্থায়ী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা বিরল। তবে হ্যাঁ, শিরদাঁড়ার অত্যন্ত গুরুতর কিছু অসুখ থাকে যেক্ষেত্রে স্থায়ী জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে তার আশঙ্কাও সামান্য।
মোহন বাগানের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হাবাস
এটিকের হয়ে ট্রফি তো ছিলই। সঙ্গে মোহন বাগানকেও ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। তবু স্প্যানিশ বসের গায়ে লেগেছিল।
এই প্রজন্ম অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার মতো দ্রুত অন্য সম্পর্কে চলে যায়
শীর্ষা গুহঠাকুরতা পরিচালিত ‘দো অউর দো প্যায়ার' ছবিতে অন্য রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি। সহশিল্পী প্রতীক গান্ধী, ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ, সেন্ধিল রামমূর্তির সঙ্গে হইহই করে কাজ করেছেন। মুম্বইয়ে এক সান্ধ্য আড্ডায় মন খুলে কথা বললেন বিদ্যা বালন।
ক্যামেরার সামনে সব চরিত্র নারী।
মধুমিতা ও রাজনন্দিনীকে দেখা যাবে নেগেটিভ চরিত্রে আর পুলিসের চরিত্রে অনিন্দিতা বসু। ঋতুপর্ণার মায়ের চরিত্রে সোহাগ সেন। শ্যুটিং শুরু হবে চলতি বছরের মে মাসে।
সারল্যকে সঙ্গে নিয়েই ৫০০ পর্বে সোহাগ চাঁদ
সেক্ষেত্রে অভিনয় ভালো না হলে একটা সিরিয়াল এই অনিশ্চয়তার আবহে পাঁচশো এপিসোড পর্যন্ত চলত না।'
শতবর্ষ পেরিয়ে বিস্মৃত ভাষাশিক্ষক বামনদেব চক্রবর্তী
ব্যাকরণের ভুল, অশুদ্ধ বানান, দুর্বল বাক্যগঠন তিনি কোনওভাবেই বরদাস্ত করেন না। বেঠিক উত্তরে সপাটে গোল্লা। উপরন্তু ধেয়ে আসে তীক্ষ্ণ শেষ।
শাসকের ‘ওয়াশিং মেশিন
সেই চার্জশিটে নাম ছিল প্রফুল্লেরও। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতেই সব অভিযোগ সাফ। সিবিআয়ের জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়, ‘প্রফুল্লের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।'
রসশোভিত রসগোল্লা
সারা ভারতে এ জন্য বহুকাল ধরেই রসগোল্লা নামের সঙ্গে তার খ্যাতনামা ময়রাদের নাম জড়িয়ে আছে।
ঘাম ঘামাচি এবং পাউডার
একনাগাড়ে কয়েক ঘণ্টা গায়ে গেঞ্জি ও জামা, পায়ে মোজা বা জুতো একদমই রাখা উচিত নয়। ঘাম নিয়ে এবার কিছু মজার তথ্য জানাই।
আইএসএলে ব্যর্থতাই সঙ্গী ইস্ট বেঙ্গলের
শারীরিকভাবে আর পারছিল না ছেলেরা। এক ঘণ্টা পর্যন্ত আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু তিন নম্বর গোলের পর তা শেষ হয়ে যায়। সমর্থকদের জন্য আমরা দুঃখিত।'