বি শাল কোনও প্রবেশদ্বার নেই। শুধু বাদামী পাথরের গায়ে লেখা আছে ‘আলমা ম্যাটার স্টুদিওরাম, এ. ডি. ১০৮৮’গর্বিত মানবমনীষার উজ্জ্বলতম প্রকাশ ধরা রয়েছে ক্ষুদ্র এক প্রস্তরফলকের সামান্য কয়েকটি শব্দে। হেমন্তের মায়াময় আলোআঁধারি মেখে আমি তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। পলক ফেলতে পারছি না। পলক ফেললে, তার সামান্য কাঁপনেই সাড়ে ন'শো বছর আগের মধ্যযুগের আঁধারভাঙা রেনেসাঁর ইতিহাস বুঝি চমকে উঠবে। দূরে কাচের দরজার প্রতিসরণে কার যেন পায়ের শব্দ সময়কে না ছুঁয়ে চলে যাচ্ছে কোথাও। আর মাটির আরও গভীরে অতিপ্রাচীন ভিলোভিয়ান সভ্যতার
স্মৃতিচিহ্ন ফিসফাস করছে। মিলান থেকে তিনশো কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝাঁ চকচকে ট্রেনে উড়ে আসতে আসতে দেখছিলাম উল্টোদিকে বসা আগন্তুক মিটিমিটি হাসতে হাসতে বলছিলেন ‘টাইম মেশিনে চড়ে টাইম ট্রাভেলে যাচ্ছেন আপনি। ভ্যান স্টোকাম, কীপ থর্ন, রিচার্ড গটের টাইম মেশিন...।' ভাগ্যিস, এখানকার লোকজন কাগজের ঠোঙায় ঝালমুড়ি খায় না, নইলে ওই সহযাত্রীর ঠোঙায় আইনস্টাইনের সমীকরণ লেখা থাকত।'
ট্রেন থেকে নামতেই দেখি, কালো পাথরের মূর্তিতে তলোয়ার হাতে অশ্বারোহী গ্যারিবল্ডি। ‘কাভ্যুরের মস্তিষ্ক আর গ্যারিবন্ডির তলোয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন এখন আপনি'— সেই আগন্তুক জিওর্দানোর মতো ভঙ্গিতে হাসেন। আমি দানোয় পাওয়া মানুষের মতো এলোমেলো পায়ে পথে চলতে থাকি। আগ্নেয় পাথরে হোঁচট খাই। ‘এইখানে, এইখানেই জিওর্দানো ব্রুনোকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল!’ কেউ ফিসফিসিয়ে ওঠার আগেই আমি রাস্তা হারিয়ে ফেললাম।
‘ধুর, ইতিহাসের পথ কখনও হারায় নাকি!’ একটু দূরেই সেই আগন্তুকের হাসি। সেই হাসি বরাবর পাথুরে রাস্তা শেষ হয়েছে ওই প্রস্তরফলকের সামনে। কাচের দরজায় টোকা মেরেই চমকে উঠলাম। ছাত্র-শিক্ষক-দর্শনার্থীর বিপুল স্রোত। অথচ কোনও শব্দ নেই। যেন এই যুগের নয়। অনন্ত এক রহস্যময় সমান্তরাল যুগের মহাযাত্রী যেন সবাই। শান্ত এক সুবৃহতের অংশ যেন।
This story is from the 03 December 2022 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 03 December 2022 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শতবর্ষ পেরিয়ে বিস্মৃত ভাষাশিক্ষক বামনদেব চক্রবর্তী
ব্যাকরণের ভুল, অশুদ্ধ বানান, দুর্বল বাক্যগঠন তিনি কোনওভাবেই বরদাস্ত করেন না। বেঠিক উত্তরে সপাটে গোল্লা। উপরন্তু ধেয়ে আসে তীক্ষ্ণ শেষ।
শাসকের ‘ওয়াশিং মেশিন
সেই চার্জশিটে নাম ছিল প্রফুল্লেরও। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতেই সব অভিযোগ সাফ। সিবিআয়ের জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়, ‘প্রফুল্লের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।'
রসশোভিত রসগোল্লা
সারা ভারতে এ জন্য বহুকাল ধরেই রসগোল্লা নামের সঙ্গে তার খ্যাতনামা ময়রাদের নাম জড়িয়ে আছে।
ঘাম ঘামাচি এবং পাউডার
একনাগাড়ে কয়েক ঘণ্টা গায়ে গেঞ্জি ও জামা, পায়ে মোজা বা জুতো একদমই রাখা উচিত নয়। ঘাম নিয়ে এবার কিছু মজার তথ্য জানাই।
আইএসএলে ব্যর্থতাই সঙ্গী ইস্ট বেঙ্গলের
শারীরিকভাবে আর পারছিল না ছেলেরা। এক ঘণ্টা পর্যন্ত আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু তিন নম্বর গোলের পর তা শেষ হয়ে যায়। সমর্থকদের জন্য আমরা দুঃখিত।'
প্যারিস ওলিম্পিকসেও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন চানু
পাহাড়ি রাস্তায় মাঝেমধ্যেই দেখা যেত ট্রাকের সারি। ডালা বোঝাই বালির বস্তায়।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের অনুষ্ঠান
‘দুর্গা' এবং ওড়িশি নৃত্যপদ ‘পল্লবী’ পরিবেশনায় মুন্সিয়ানার পরিচয় দেন সঞ্চিতা ও তাঁর ডান্সট্রুপের সদস্যা অঞ্জলি, তমালিকা, অনুশ্রী, অমৃতা এবং সৃজনী।
স্মরণে মননে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়
পরে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মারক গ্রন্থ ‘নও শুধু ছবি' এবং তাঁর গাওয়া অশ্রুত রবীন্দ্রসঙ্গীত, দ্বিজেন্দ্রগীতি, অতুলপ্রসাদী, রজনীকান্তের গান, ভজন, শ্রীরামকৃষ্ণের ভালো লাগা গান ও কীর্তন সংকলনের একটি মিউজিক কার্ড প্রকাশ করে মহারাজজি বলেন, গানকে কখনওই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়।
পর্দার আড়ালে থাকা মহিলা শিল্পীদের জন্য সরব রিচা চাড্ডা
এই বিভাগেই বা মেয়েদের নেওয়া হয় না কেন? বিশেষ করে এটা যখন একেবারেই কেয়ার গিভিং বা যত্ন নেওয়ার কাজ।
বাপি লাহিড়ীর শেষ সুরে আসছে আমার লবঙ্গলতা
সেদিন এই ছবির টাইটেল সং রেকর্ডিং চলছিল বাড়িতেই। ডুয়েট গান, অলকা ইয়াগ্নিক ছিলেন। গানটা এতটাই ইমোশনাল ছিল যে রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পর দাদু, আমার মা, অলকা আন্টি সবাই রুমের মধ্যেই কেঁদে ফেলেন।'