কে বলে রে জটাইবুড়ি গিয়েছিল বৃন্দাবন। ঘণ্টাঘরের গির্জে দেখে বলে গিরি গোবর্ধন।। মনই এক ছড়া একসময় এই অঞ্চলের লোকের মুখে মুখে ফিরত। কোন জায়গা বলুন তো? জানেন | হয়তো অনেকেই। কলকাতার থেকে সামান্য কয়েক কিলোমিটার দূরের ওলন্দাজদের হাতে গড়া শহর, চুঁচুড়া। আমাকে যদি আজ থেকে বছরখানেক আগেও জিজ্ঞেস করা হতো ছড়ায় বলা চুঁচুড়ার গির্জে আদপে কোনটি, আমি তো চোখ বুজে বলে দিতাম, ‘এ নিশ্চয়ই ব্যান্ডেল চার্চ’। ভুল ভেঙেছে এই শহরে কর্মসূত্রে আসার পর।
চলুন পিছিয়ে যাই অষ্টাদশ শতকে। পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ব্রিটিশ, ফরাসিদের হাত ধরে তৈরি এই চুঁচুড়া শহর সেই সময় আক্ষরিক অর্থেই ছিল লিটিল ইউরোপ। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিক থেকেই বাংলায় ইউরোপীয় বণিক পর্যটকদের পাশাপাশি পা রাখতে শুরু করেছিল। ইউরোপীয় মিশনারিরা। ইউরোপীয় শক্তিগুলির বাণিজ্যিক কাজ কারবারের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল মিশনারীদের ধর্মীয় কার্যকলাপও। হুগলি জেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা সেই কবিতাটি শুনেছেন নিশ্চয়— ‘হাঁসের প্রিয় গুগলি পর্তুগিজদের হুগলি গুণের প্রিয় তানপুরা ওলন্দাজদের চিনসুরা।' একসময় হুগলি ছিল পর্তুগিজদের শক্ত ঘাঁটি। ১৫৯৯ সালে বাংলার প্রাচীনতম ও প্রথম গির্জা ব্যান্ডেল চার্চ তৈরি হয় এই পর্তুগিজদের হাত ধরেই। তারপর ক্রমেই কাটতে থাকে দিন। মুঘল শক্তির সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে থাকে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর। সেই সুবাদেই চুঁচুড়া শহরকে কেন্দ্র করে উত্থান ঘটে ওলন্দাজদের। মুঘল বাদশা শাহজাহানের জারি করা ফরমান বলে ওলন্দাজরা ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পাকাপাকিভাবে ঘাঁটি স্থাপন করে এখানে। বাংলার বাণিজ্যিক মানচিত্রে নিজেদের অধিকার কায়েম করার উদ্দেশে একে একে গড়ে তোলে বাণিজ্য কুঠি তথা প্রশাসনিক ভবন ফোর্ট গুস্টাভাস। তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে সারি সারি হর্ম্য প্রাসাদ, বাগান, শিক্ষাকেন্দ্র এবং এই চার্চ, যার কথা আজ আমরা বলছি। লোকপ্রবাদ ছাড়াও তৎকালীন সময়ে আঁকা বিভিন্ন চিত্রকরদের ছবিতে স্পষ্ট সেই ঘণ্টাঘর বা গির্জার ছবি। অনেকেই মনে করেন সেই গির্জার উঁচু চূড়া থেকেই হয়তো এই শহরের নাম হয়েছে চুঁচুড়া।
This story is from the 18 June 2022 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 18 June 2022 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শতবর্ষ পেরিয়ে বিস্মৃত ভাষাশিক্ষক বামনদেব চক্রবর্তী
ব্যাকরণের ভুল, অশুদ্ধ বানান, দুর্বল বাক্যগঠন তিনি কোনওভাবেই বরদাস্ত করেন না। বেঠিক উত্তরে সপাটে গোল্লা। উপরন্তু ধেয়ে আসে তীক্ষ্ণ শেষ।
শাসকের ‘ওয়াশিং মেশিন
সেই চার্জশিটে নাম ছিল প্রফুল্লেরও। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতেই সব অভিযোগ সাফ। সিবিআয়ের জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়, ‘প্রফুল্লের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।'
রসশোভিত রসগোল্লা
সারা ভারতে এ জন্য বহুকাল ধরেই রসগোল্লা নামের সঙ্গে তার খ্যাতনামা ময়রাদের নাম জড়িয়ে আছে।
ঘাম ঘামাচি এবং পাউডার
একনাগাড়ে কয়েক ঘণ্টা গায়ে গেঞ্জি ও জামা, পায়ে মোজা বা জুতো একদমই রাখা উচিত নয়। ঘাম নিয়ে এবার কিছু মজার তথ্য জানাই।
আইএসএলে ব্যর্থতাই সঙ্গী ইস্ট বেঙ্গলের
শারীরিকভাবে আর পারছিল না ছেলেরা। এক ঘণ্টা পর্যন্ত আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু তিন নম্বর গোলের পর তা শেষ হয়ে যায়। সমর্থকদের জন্য আমরা দুঃখিত।'
প্যারিস ওলিম্পিকসেও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন চানু
পাহাড়ি রাস্তায় মাঝেমধ্যেই দেখা যেত ট্রাকের সারি। ডালা বোঝাই বালির বস্তায়।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের অনুষ্ঠান
‘দুর্গা' এবং ওড়িশি নৃত্যপদ ‘পল্লবী’ পরিবেশনায় মুন্সিয়ানার পরিচয় দেন সঞ্চিতা ও তাঁর ডান্সট্রুপের সদস্যা অঞ্জলি, তমালিকা, অনুশ্রী, অমৃতা এবং সৃজনী।
স্মরণে মননে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়
পরে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মারক গ্রন্থ ‘নও শুধু ছবি' এবং তাঁর গাওয়া অশ্রুত রবীন্দ্রসঙ্গীত, দ্বিজেন্দ্রগীতি, অতুলপ্রসাদী, রজনীকান্তের গান, ভজন, শ্রীরামকৃষ্ণের ভালো লাগা গান ও কীর্তন সংকলনের একটি মিউজিক কার্ড প্রকাশ করে মহারাজজি বলেন, গানকে কখনওই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়।
পর্দার আড়ালে থাকা মহিলা শিল্পীদের জন্য সরব রিচা চাড্ডা
এই বিভাগেই বা মেয়েদের নেওয়া হয় না কেন? বিশেষ করে এটা যখন একেবারেই কেয়ার গিভিং বা যত্ন নেওয়ার কাজ।
বাপি লাহিড়ীর শেষ সুরে আসছে আমার লবঙ্গলতা
সেদিন এই ছবির টাইটেল সং রেকর্ডিং চলছিল বাড়িতেই। ডুয়েট গান, অলকা ইয়াগ্নিক ছিলেন। গানটা এতটাই ইমোশনাল ছিল যে রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পর দাদু, আমার মা, অলকা আন্টি সবাই রুমের মধ্যেই কেঁদে ফেলেন।'