য়স্কদের খিদে কমে যাওয়ার ব কারণগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। ক) হরমোনজনিত কারণ। দুই ধরনের হরমোন আছে যা খিদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলি হল হ্যাঙ্গার হরমোন এবং স্যাটাইটি হরমোন। এই দু’টি হরমোনের উপরেই নির্ভর করে আমাদের খিদে এবং উদরপূর্তির অনুভূতির বিষয়টি। খ) জিআই বা গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল ট্র্যাক্ট-এর মোটিলিটির পরিবর্তন। গ) অন্যান্য বিষয়।
হরমোন খিদের অনুভূতি তৈরি করে গ্রেলিন নামে একটি হরমোন। পাকস্থলীতে তৈরি হয় এই হরমোন। পাকস্থলী থেকে বেরিয়ে এই হরমোন ব্রেনে পৌঁছয় এবং খিদের অনুভূতি তৈরি করে। আবার কিছু হরমোন রয়েছে যা আমাদের পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি দেয়। এই ধরনের হর্মোনকে বলে স্যাটাইটি হরমোন। এই ধরনের হরমোনগুলি হল কোলোসিস্টোকাইনিন (সিসিকে), লেপটিন, ইনসুলিন, পেপটাইড হরমোন ওয়াই ওয়াই ইত্যাদি। প্রোটিন বা ফ্যাট জাতীয় খাদ্য খেলে সিসিকে হরমোনটি আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র বা ডিওডিনাম থেকে বেরয়। এরপর পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি করে। এই কারণেই আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকি৷
পেপটাইড ওয়াই ওয়াই হরমোনটি খাওয়ার অনেকক্ষণ পরে বেরয়। এই হরমোন একবার খাবার খাওয়ার পরে পুনরায় খাদ্যগ্রহণের ইচ্ছে প্রতিহত করে। ফ্যাট সেল থেকে বেরনো লেপটিন হরমোনের কাজও তাই। ইনসুলিনও খিদে কমায়।
গ্রেলিন হরমোনের প্রতি শরীর যেভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে তার মাত্রা কমায় স্যাটাইটি হরমোনগুলি। এর ফলে খিদে কমে যায়। এই হল হরমোনগুলির স্বাভাবিক ক্রিয়া। মুশকিল হল বয়সের সঙ্গে সঙ্গে লেপটিনের মাত্রা বাড়ে। প্রভাব বাড়ে পিওয়াইওয়াই, সিসিকে হরমোনের। এর ফলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে খিদে কমতে থাকে।
জিআই মোটিলিটি জিআই ট্র্যাক্ট-এর অন্তর্গত অঙ্গগুলি হল মুখগহ্বর, ফ্যারিংস, ইসোফেগাস, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, রেকটাম, অ্যানাস। তবে আমাদের আলোচনায় আমরা মূলত পাকস্থলীর মোটিলিটি বা সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়েই কথা বলব পারে।
This story is from the June 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the June 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্ট্রোক ও নিউরো সমস্যায় ফিজিওথেরাপি
পরামর্শে বিশিষ্ট ফিজিওথেরাপিস্ট জীবক বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ নিবন্ধ 2
পরামর্শে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন ফিজিওথেরাপিস্টঅরূপকান্তি সাহা
হাঁটু এবং হিপ রিপ্লেসমেন্টের পর ফিজিওথেরাপি
হাঁটু এবং হিপ রিপ্লেসমেন্টের পর ফিজিওথেরাপি পরামর্শে ফিজিওথেরাপিস্ট সৌমেন মণ্ডল
হাঁটু ও কোমরের ব্যথায় ফিজিওথেরাপি
হিট থেরাপি আর কোল্ড থেরাপির বিষয়গুলিও ফিজিওথেরাপির মধ্যে পড়ে। তাই ফিজিওথেরাপি প্রথম দিন থেকেই করতে হবে।
ফিজিওথেরাপিতেই 'মিরাকল'!
আমাদের চারপাশে এমন নানা উদাহরণ রয়েছে, যেখানে ফিজিওথেরাপি ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে। রইল আরোগ্যের সেসব কাহিনি।
সাউন্ড বাথে পরম শান্তি!
সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে, উদ্বেগ দূরে রাখতে সাউন্ড বাথ অত্যন্ত কার্যকরী বলে দাবি করা হচ্ছে। এমনকী কোনও কোনও ক্ষেত্রে মানসিক জটিলতা কমাতে এবং বেদনানাশক হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে শব্দ। লিখেছেন রূপাঞ্জনা দত্ত।
বয়সকালে মনের খেয়াল
বুড়ো হয়ে যাওয়ার জন্য শুধু কি বয়সই দায়ী, নাকি তার সঙ্গে মানসিকতাও খানিকটা দায়ী থেকে যায়? কী করলে বয়স্করা থাকতে পারেন প্রাণপ্রাচুর্যে পূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক? লিখেছেন বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনিরুদ্ধ দেব।
ভেষজের রাজা নিমপাতা
লিখেছেন ভারত সরকারের আয়ুর্বেদ গবেষণা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ডাঃ সুবলকুমার মাইতি
দ্য গার্ল উইথ আ ব্রোকেন নেক
শারীরিক বিভ্রান্তিতে তাঁর কোনও দায় নেই। ফলে লোকে তাঁকে দেখে কী বলল, তা নিয়ে ভেবে অযথা সময় নষ্ট করেননি তিনি। বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। রাধিকা গুপ্তা-র সাফল্যের কাহিনি বিস্ময় জাগাবে বহু মানুষকে। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
২২৫-এ গঙ্গাধর কবিরাজ
মধ্যবঙ্গের ভাগীরথী বা গঙ্গা তীরের সৈদাবাদের এই কবিরাজকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে কিংবদন্তি। লিখেছেন একাধিক আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর অসংখ্য বই। প্রথম ভারতীয় শব ব্যবচ্ছেদকারী মধুসূদন গুপ্ত সহ আরও বহু বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের শিক্ষাগুরু ছিলেন তিনি। তাঁর সারাজীবনের কাজ অঞ্জলিতে ধরলেন ডঃ সায়ন্তন মজুমদার।