ভ্রমণসঙ্গী হোমিওপ্যাথি

লিখেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির প্রাক্তন অধিকর্তা ও বর্তমানে পি সি এম হোমিওপ্যাথি কলেজের অ্যানাটমি’র বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ গৌতম আশ।

অন্তর দুই থেকে তিন বার ২০০ পাওয়ারের (শক্তির) এক ডোজ করে খেলে ভয় চলে যায়। আবার হঠাৎ করে আসা তীব্র জ্বরের প্রাথমিক পর্যায়ে ওষুধটি কার্যকর। ঠান্ডা হাওয়ায় বাইরে গিয়ে জ্বর এলে, সঙ্গে উদ্বেগ, অস্থিরতা এবং ঠান্ডা জলপানের ইচ্ছা থাকলে বাচ্চা ও প্রাপ্তবয়স্করা খেতে পারেন অ্যাকোনাইট।

ক্র্যাম্পিংয়ের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। আবার খাবারে বিষক্রিয়ায় এটি সবচাইতে বেশি কার্যকর। ৩০ বা ২০০ শক্তি বার বার দেওয়া হয় রোগের তীব্রতা অনুযায়ী।

৪. এপিস মেল: পোকামাকড়ের দংশনে ফোলা, লালভাব, জ্বালা এবং ব্যথা সহ অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে আক্রান্ত অংশে বরফ প্রয়োগ করুন। এরপর দুই থেকে তিনদিনের জন্য দিনে দু'-তিনবার ৩০ শক্তির এপিস মেল ব্যবহার করুন। জঙ্গল ভ্রমণে ওষুধটি অত্যন্ত জরুরি। ৫. বেলেডোনা: হিট স্ট্রোক, রোদে ঘুরে মাথা ব্যথা, কানের ব্যথা ও ফোড়ার জন্য ব্যবহৃত হয় বেলেডোনা। এছাড়া রোদে ঘুরে জ্বর এলে ও সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শব্দ, আলো এবং স্পর্শের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলেও ওষুধটি খাওয়া যায়। লক্ষণগুলি না কমা অবধি ৩০ এবং ২০০ শক্তির ওষুধ বার বার গ্রহণ করা যেতে পারে।

৬. ব্রায়োনিয়া: সর্দি, কাশি এবং জ্বর থাকলে এবং অতিরিক্ত তৃষ্ণার সঙ্গে শুষ্ক কাশি হলে, শীত শীত ভাব থাকলে, শুয়ে থাকার প্রবণতা বাড়লে, সারা শরীরে শুষ্কভাব থাকলে ওষুধটি ব্যবহৃত হয়। ৩০ এবং ২০০ শক্তির ওষুধ তিন-চার ঘণ্টা অন্তর দেওয়া জরুরি।