সৃষ্টি কার? । ‘ডাকঘর’ ডামাডোল

আদত পরিচালক এবং সিনেমাটোগ্রাফারকে আঁধারে রেখে অন্য পরিচালককে দিয়ে শুট করিয়ে নিল প্রযোজনা সংস্থা। নেপথ্যের কারিগররা কি সত্যিই ব্রাত্য? লিখছেন সায়ক বসু

-কঘর’ নিয়ে ডামাডোল অব্যাহত। অভ্রজিৎ সেন পরিচালিত (?), সুহোত্র এবং দিতিপ্রিয়া অভিনীত এই সিরিজ-এর ট্যাগলাইন এখন হওয়া উচিত ‘সৃষ্টি কার?’ কারণ এই সিরিজের সঙ্গে এত প্রশ্ন জড়িয়ে গিয়েছে যে গ্রামজীবনের মিষ্টি প্রেমের গল্পটি এখন পরদার বাইরে থ্রিলারের আকার নিয়েছে। মুশকিল হল, কে যে সত্যি কথা বলছেন, তা পুরোপুরি স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না। যাঁরা বিষয়টি নিয়ে এখনও অবগত নন, তাঁদের উদ্দেশে ছোট করে বলি, এই ওয়েব সিরিজ় মুক্তি পাওয়ার পর অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী তাঁর স্বামী, পরিচালক অভিষেক সাহাকে ট্যাগ করে একটি পোস্ট করেন। সেটির বক্তব্য ছিল, “প্রায় তিন বছর ধরে খেটে, দিনরাত এক করে, তিল তিল করে বড় করে তুললে একটা বাচ্চাকে, সমস্ত রকম প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ে গেলে তার জন্য, অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা পেরিয়ে তাকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলে প্রাণপণ, তারপর হঠাৎ একদিন শুনলে তার বাবা অন্য কেউ, বাচ্চা কে কেড়ে নিয়ে, তাকে রঙিন জামা পরিয়ে

বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। আজ সারা দুনিয়া সেই বাচ্চার প্রশংসা করছে। আর তুমি অশান্তি এড়াতে চুপচাপ গ্যালারিতে বসে খেলা দেখে চলেছ আর মিটমিট করে হেসে চলেছ! তোমার মত মানুষ এই (অ) সভ্য দুনিয়া ডিজ়ার্ভই করে না।” বুঝতে বাকি ছিল না, অভিষেক, যিনি আগে ‘উড়নচণ্ডী’র মতো একটি ছবি পরিচালনা করেছেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন কোনওভাবে। কারণ ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' ছবির ট্রেলার শেয়ার করে অভিষেক লেখেন রানি মুখোপাধ্যায়ের বলা সেই অমোঘ সংলাপ, “আমি ভাল মা না খারাপ মা জানি না, কিন্তু আমি মা।”