মােদীর ভারতবর্ষ:পরিবর্তন এবং আশঙ্কা

লিবারাল সেকুলার ডেমােক্র্যাসি হিসেবে এই দেশ আবার কখন, কীভাবে ফিরে আসবে তা বলা সত্যিই কঠিন।

তা জুদ্দি ন আ হ মে দ

প্রায় ছ’শতক আগে কবীর তাঁর দোঁহায় জানিয়েছিলেন, তিনি আল্লাহর সন্তান এবং রামেরও সন্তান। কবীরের জীবন সম্পর্কে নিশ্চিত করে প্রায় কিছুই বলা যায় না। শুধু এইটুকুই নিশ্চিত যে, তাঁর জন্ম এক নিম্নবর্গীয় মুসলমান জোলা বা তাঁতি পরিবারে এবং তিনি বারাণসীতে বাস করতেন। সেই বারাণসীতেই দিন কয়েক আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী গেরুয়াবসন পরে গঙ্গায় স্নান করে একবুক জলে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা সারার পর, কাশীবিশ্বনাথ মন্দিরে করিডর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অকারণেই তুলে আনেন আওরঙজেবের প্রসঙ্গ, রব তােলেন—হর হর মহাদেব। উচ্চারণ না করেও, হিন্দু হৃদয়সম্রাট যেন জানিয়ে দেন, অযােধ্যায়। করসেবকরা যে-স্লোগান দিয়েছিল— ‘কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’– তার কাশী অংশটির মীমাংসা হয়ে গেল। সব কা সাথ সবকা বিকাশ’ স্লোগানের ‘সব’-এর মধ্যে যে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিবেচিত হন না, তা যেন উত্তরােত্তর স্পষ্ট করছেন প্রধানমন্ত্রী। যােগ্য সঙ্গত করছেন যােগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন এবার ৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশের লড়াই। এসপি, কংগ্রেসের মতাে বিরােধীদল এই ২০ শতাংশ ভােট পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যার ১৯ থেকে ২০ শতাংশ মুসলিম। কোনও রাখঢাক না রেখে যােগী আদিত্যনাথ উত্তপ্রদেশের ভােটকে। সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের লড়াই হিসেবেই তুলে ধরতে চাইছেন।