সার্স-কোভি-টু থাকছে ।

স্মল পক্সের মতাে এটা পৃথিবী থেকে হয়তাে কোনও দিনই নির্মূল হবে না। মৃদুতর হয়ে থেকেই যাবে।

যুধাজিৎ দাশগুপ্ত

আলফা বিটা গামা ডেলটা সীমায়িত মিউ, এখন ওমিক্রন: স্নায়ুর স্থৈর্য বনাম গ্রিক বর্ণমালা! কোন পক্ষ সুবিধেজনক অবস্থায় আছে =ে প্রশ্নটাও সময়ােচিত নয়। নভেম্বরের শেষাশেষি সাউথ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়ে এরই মধ্যে সার্স-কোভি-টু-র নব ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রায় ৬০ টি দেশে পৌঁছে গেছে, ভারতেও; যদিও বতসােয়ানা বা দক্ষিণ আফ্রিকা, দুটি দেশের

কোনওটিই হয়তাে এর আসল সূতিকাগার নয়, এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিরাপদ নয়। । এমন দেশগুলােকে বেছে বেছে তাদের সঙ্গে হাওয়াই যােগাযােগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে— একটা মরিয়া চেষ্টা, যাতে এই ওমিক্রন ঢেউ সীমানার ভেতর ঢুকে আসা যতটা সম্ভব বন্ধ করা যায় (ভারত সরকারও ৩১ জানুয়ারি অবধি নিয়মিত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা মুলতুবি। রেখেছে)। স্বগতােক্তির সুরে মানুষ প্রশ্ন করছে, এর কি শেষ হবে না কোনও দিন? ওমিক্রন কি ডেলটার চেয়েও বেশি সংক্রামক হবে? এটা কি আরও বেশি প্রাণঘাতী? ভ্যারিয়েন্টেরও কি কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই, কয়েক মাস অন্তর কি ক্রমাগত একটা একটা করে নবরূপী মৃত্যুদূতের অপেক্ষায় থাকতে হবে আমাদের?

সত্যি বলতে কী, প্রকৃত আশ্বাস জোগানাের মতাে উত্তর এখনও অমিল। যা বিন্দুর চেয়েও বিন্দুবৎ, তাকে এখন মনে হচ্ছে পর্বতের মতাে আকৃতির দৈত্য, তার সঙ্গে লড়তে লড়তেই তাকে বােঝার চেষ্টা চলেছে। ওমিক্রন মুখ দেখানাের পর । এখনও যথেষ্ট সময় পেরােয়নি, যাতে তার প্রকৃতি কিছুটা নিশ্চিত বুঝে ওঠা যায়। প্রাথমিক আভাস, এটি ডেলটার চেয়েও অনেক বেশি সংক্রামক, কিন্তু এখনও তার মারক ভয়ঙ্কর তেমন প্রকাশ পায়নি। এটাকে আশার আলাে বলে মনে করা ভুল হচ্ছে কি না তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বােঝা যাবে। কিন্তু এর সংক্রামক যে ডেলটার চেয়েও অনেক বেশি সেটা এখনই স্পষ্ট, ভ্যাকসিন থেকে পাওয়া অনাক্রম্যতা তেমন কাজ করছে না এর বিরুদ্ধে। তৃতীয় একটা ডােজের প্রয়ােজনীয়তা ক্রমশ জোর পাচ্ছে।