চো খ জুড়ানো সবজে-নীল ঢেউ আর সৈকতে সাদা বালির রাশি | পা ছুঁতেই বুঝে গেলাম ছুটি সত্যিই শুরু হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত যা এক পর্ব গিয়েছে তাতে ছুটতে ছুটতে গন্তব্যে পৌঁছনোই একটা বিরাট কাণ্ড ছিল। কেন, সে কথায় পরে আসছি। আপাতত আমরা চলে এসেছি থাইল্যান্ডের ক্রাবি প্রদেশের এক নির্জন সৈকতে। চারদিক থেকে একটা নরম হাওয়া মুখেচোখে ঝাপটা মারছে। মাথার ঠিক উপরে থাকা রোদ্দুরের ঝাঁঝ যেন হেরে গিয়েছে হাওয়ার কাছে। পায়ের তলায় নরম মসৃণ বালি। একপ্রান্তে একা বসে থাকলেও কুছ পরোয়া নেই। প্রকৃতি তার ডালি উপুড় করে সাজিয়ে রেখেছে যেন আমারই জন্য। সামনে সবুজে ঘেরা টিলা, ছোটখাট পাহাড়। মাঝে মাঝে আকাশে ভেসে আসে মেঘ। একবার বুঝি একপশলা বৃষ্টি। এসব দেখতে দেখতেই বসে থাকা যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মনে হয় কেউ কোত্থাও নেই, হয়তো বা কিছুই নেই। শুধু আমি আর বিশ্ব চরাচর।
যদিও বেশ বড়সড় একটা দলের সঙ্গে এবার থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম। দলে ছিলেন ষাটজন মহিলা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন! নানা বয়সের নানা ভাষাভাষীর ৬০ জন ভারতীয় মহিলা। শুধু বেড়ানো নয়, এই দলের কয়েকজন মহিলাই আবার এই সফরের পরিচালক ছিলেন। কীভাবে নানা মুনির নানা মত সামলে তাঁরা এমন একটা দারুণ ট্যর উপহার দিলেন সে গল্পই বলব। সইলানি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসএর তরফে তাঁদের সঙ্গে বেড়ানোর আমন্ত্রণ পেয়ে কলকাতা থেকে ব্যাংককের বিমান ধরে পৌঁছেছিলাম থাই রাজধানীর সবচেয়ে বড় সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
সাধারণত রাতের বিমানই থাকে এই রুটে। যেগুলো ব্যাংকক নামে ভোর ভোর, ঘড়ির কাঁটায় ভারতীয় সময় রাত আড়াইটে হলেও থাইল্যান্ডের সময়ে ভোর সওয়া চারটে নাগাদ পৌঁছে গিয়েছিলাম ব্যাংকক। কিন্তু আমাদের গন্তব্য ব্যাংকক নয়, থাইল্যান্ডের দক্ষিণ প্রান্তের প্রদেশ ক্রাবি। তাই সুবর্ণভূমি থেকেই ছুটতে হল ক্রাবিগামী বিমান ধরার জন্য। মাত্র এক ঘণ্টা হাতে সময়। তার মধ্যে সব নিয়ম মেনে আর একটা ডোমেস্টিক বিমান ধরে ফেলা খুব সহজ নয়। সেই দৌড়ানোর পর্বের কথাই প্রথমে বলছিলাম। ভাষা নিয়ে কিঞ্চিত সমস্যার মুখেও পড়তে হয়েছে আমাদের। কারণ থাই ভাষা জানেন এমন কেউ আমাদের দলে ছিলেন না। আর ভাঙাচোরা ইংরেজি ছাড়া অন্য কিছু সেখানকার মানুষও ভালো বুঝতে পারছিলেন না। যাই হোক সব ভালো যার শেষ ভালো। বিমান ছাড়ার মোটামুটি মিনিট পনেরো আগে পৌঁছনো গেল গেটে। সিটে মাথা, রেখে হাঁপ ছাড়লাম স্বস্তির।
この記事は Sukhi Grihakon の November 2022 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、8,500 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Sukhi Grihakon の November 2022 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、8,500 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
হাম্পির মন্দিরে একটি রাত
কারণ তার উপন্যাসের মালমশলা তিরুমালার কাছ থেকে সে প্রায় সবই পেয়ে গেছে। এবার শুধু লেখার অপেক্ষা।
টান
কিন্তু কেমন ভেজা ভেজা। চোখ দুটো বেশ বড় বড়। অসঙ্কোচ দৃষ্টি। সে সোজা তাকিয়ে আছে প্রাঞ্জলবাবুর দিকে।
সিক্তা নদী
ভারতীয় সংস্কৃতিতে নদীকে ভগবান হিসেবে পূজা করা হয়। নদীর তীরে গড়ে ওঠে সভ্যতা, তাই বোধহয় এই রীতি। লিখেছেন পূর্বা সেনগুপ্ত।
কার্সড ভিলা
নিকুঞ্জ সেই আন্দোলিত ছবিটির দিকে চেয়ে হাসল, ‘বড় আনন্দে আছেন তিনি। আপনার শরীরটি তাঁকে উৎসর্গ করে আজ আমি দায়মুক্ত হব...।'
ছায়া
মিহির সেন শুকনো গলায় ঢোক গিলে বলে উঠলেন, “খেলতে চান?” বোরে এগিয়ে এল। “বেশ। তাই হোক।
সামনের অমাবস্যায়
একজন জিজ্ঞাসা করল, ‘শরীর খারাপ নাকি?' সুশান্ত বলল, ‘না, গা-টা একটু শিরশির করছে! ও কিছু না।'
এক যে আছে গাছ
নীলাঞ্জনাকে কি কাউন্সেলিং করানোর দরকার? কাকে জিজ্ঞেস করবে বর্ণক? কে সঠিক ডাক্তারের হদিশ দিতে পারবে? নাহ্, বর্ণক ভেবে কোনও কুলকিনারা পায় না ৷
পালাবার পথ নেই
গর্ত খোঁড়াই ছিল। লাশটা ফেলে মাটি চাপা দিলেন সুবু মিয়াঁ।... লাশের সঙ্গে মোবাইলটিও দফন দিলেন তিনি।...এসব লোকদের খোঁজখবর হয় না তেমন।
বিকট এক জোড়া পা
বিজনেসম্যান বিশ্বনাথের শিলিগুড়িতে বড় কাউন্টার। বিশাল দু'খানা রুম। একটায় সাজানো-গোছানো অফিস। এককোণে ছোট ওয়াশ রুম। ভেতরে পুরনো-নতুন কম্পিউটারের হরেক কিসিমের মালপত্রে ঠাসা গোডাউন ঘর। সবে ঠান্ডা পড়েছে।
চলন বলন বসন কেমন বদল
কালের নিয়মে কীভাবে বদলেছে লেখিকাদের পোশাক ও স্টাইল স্টেটমেন্ট? ইতিহাস ঘেঁটে লিখছেন এসময়ের লেখিকা কাবেরী রায়চৌধুরী।