জোরে হাঁটলে খাবেন কী?

শুধু হাঁটলেই হবে না। খাদ্য নির্বাচনেও সতর্ক হওয়া দরকার। নাহলে সব পরিশ্রম মাটি! পরামর্শে পুষ্টিবিদ শ্রীপর্ণা চক্রবর্তী

সুষম খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার ভারসাম্যই হল সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। ঠিকানও ব্যক্তির বয়স, তাঁর শরীরচর্চার ধরন এবং শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হয় খাওয়াদাওয়ার একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা। সেটাই তাঁর ‘ডায়েট চার্ট”। সেই কারণেই একজনের ডায়েট প্ল্যান অন্যজনের ক্ষেত্রে খাটে না। ঠিক যেমন একজনের জন্য কেনা জুতো আর এক জনের পায়ে ফিট হয় না। তাই হাঁটাহাটি বা শারীরিক কসরত করলে কোন বয়সে কেমন হবে ডায়েট, তার ধারণা থাকা দরকার। বয়স কম থাকতে ডায়েট নিয়ে বিশেষ ভাবেনি জয়িতা। কব্জি ডুবিয়ে লাঞ্চডিনারের পাশাপাশি রোজকার টিফিনেও দেদার চলত পিৎজা, বার্গার, রোল। ফলে বয়স তিরিশ পেরতেই শরীরে জমতে শুরু করে বাড়তি ফ্যাট। কোমরের মাপ এক

ধাক্কায় ছাব্বিশ থেকে চৌত্রিশ। সাধের জিনস পরতে গলদঘর্ম অবস্থা। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে শুরু কড়া ডায়েট। আর কিছুদিন বাদেই হতোদ্যম হয়ে ফিরে যাওয়া পুরনো রুটিনে। আজকের সমাজে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষ অসংখ্য মানুষ জয়িতার সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পারবেন। কিন্তু, জেনে রাখা ভালো, এমনটা করলে নিজের অজান্তেই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারেন আপনি। এক্ষেত্রে ওজন তো কমবেই না, বরং জরুরি পুষ্টির অভাবে জটিল শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার মানে এই নয় যে, কখনওই বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না। বরং সেটাকে অভ্যেসে পরিণত হতে না দিলেই মঙ্গল। নিজেকে যদি একটু শাসনে রাখা যায়, তাহলেই বিষয়টা সহজ হয়ে যাবে।