আ “মাদের ছোটবেলায় কলকাতার সাবেক পাড়াগুলোয় যে ছোট বা মাঝারি দুর্গাপুজো হতো, তার যত পুজোর বাসন, সব আসত আশপাশের গেরস্ত বাড়ির ঠাকুরঘর থেকে। সেইসময় যত বড়সড় পুজো, তাদের নিজেদের কেনা বাসন থাকতেই পারে। কারণ তা রাখার মতো জায়গা বা ক্লাবঘর তাদের ছিল। কিন্তু পাড়ার পুজোর বেলায় তা তো সম্ভব ছিল না। ফলে এ বাড়ির ফুলকাকা, ও বাড়ির ন'মামা, তাঁদের মা, পিসিমা বা বউদির কাছে অনেক অনুনয়-বিনয় করে, নিজেদের ঠাকুরঘরের কিছু কিছু পুজোর বাসন বের করে নিয়ে আসতেন পাড়ার পুজোমণ্ডপে। পুজো মিটলে সেগুলোকে আবার ধুয়ে-মেজে নিজ দায়িত্বে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেন যে যার বাড়ি। এই রেওয়াজ চলে আসছে সম্ভবত সেই সময় থেকে, যখন বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা নিজেদের ঠাকুরঘরের বাসন পুজোমণ্ডপে নিয়ে আসতেন লুকিয়ে চুরিয়ে। কারণ পুজোর বাসন কেনার মতো অত চাঁদা তো তাঁদের উঠত না। আর যদি বা উঠতও, পুজোর পর সেইসব বাসনকোসন আবার এক বছরের জন্যে তাঁরা কোথায়ই বা তুলে রাখতেন? মনে পড়ে, আমাদের কৈশোরে ভবানীপুরের একটি পুরনো পাড়ার পুজোর কিছু বাসন আসত এমন একটি বাড়ি থেকে, যে বাড়ির গুরুজনেরা গৃহদেবতার বাসনপত্র বাড়ি থেকে বের করাটা একেবারেই পছন্দ করতেন না। সেই কারণে প্রতি বছর দুর্গাপঞ্চমীর মধ্য রাতে সেই বাড়ির একটি ছেলে, ছাদ থেকে বেশ কিছু দামি বাসন তার মায়ের শাড়িতে বেঁধে রাস্তায় নামিয়ে দিত। আর তার বন্ধুরা মুখে টু শব্দটি না করে, সেই বাসনপত্র ঝোলানো শাড়ি থেকে খুলে নিয়ে চুপচাপ চলে যেত পুজোমণ্ডপে।
This story is from the 21 October 2023 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 21 October 2023 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
দেশভাগের যন্ত্রণা পেরিয়ে কেমন আছেন তাঁরা?
ভূমিকা, সম্পাদনা ও গ্রন্থনা: মননকুমার মণ্ডল ৷ সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ, ট্রান্সলেশন অ্যাণ্ড কালচারাল স্টাডিজ, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা ৭৫০ টাকা। • জয়ন্ত দে
বিজ্ঞাপন শিল্পীর আত্মকথা
একে একে হাজির হয়েছেন পরতে পরতে। পাশাপাশি, লেখকের নিজস্ব ভাবনা, সময়সমাজ-দেশ-বিদেশে তাঁর বিচরণের গল্প।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভ বিষ্য ৎ
সাইবার সিকিউরিটি, রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদা বাড়ছে। দেশ ও রাজ্যের সরকারি থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রায় সমস্ত জায়গাতেই এখন এই বিষয়টি সিলেবাসের মধ্যে রাখা হচ্ছে।
ফাইনান্স মার্কেটিং ও জুয়েলারি ডিজাইনেও চাকরির সুযোগ
এখানেই এক মাসের কোর্সে শেখানো হয় সেটিং, লক, চেন এবং কপার সেট। আরও একটি চার মাসের কোর্সে হীরের গয়নার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
স্বা স্থ্য ক্ষে ত্রে রয়েছে সারা বছর কাজের সুযোগ
চাইলেই https:// www.healthcare-ssc.in/ সাইটে ঢুকে কোর্সগুলি সম্পর্কে জানা সম্ভব।
সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন?
এর পূর্ণমান ৫০ নম্বর। এই তিনটি স্তরে পাশ করলে তবেই একজন প্রার্থী যোগ্য বলে বিবেচিত
ভাষাহ যখন পাসপোর্ট
কাজের সুযোগ রয়েছে পর্যটন, অ্যাভিয়েশন, ফরেন সার্ভিস, বিপিও সহ নানা ক্ষেত্রে।
অচেনা অজানা থাম্বি
সেখানে বিস্কুট-লজেন্স-চিপস-পপকর্নের প্যাকেটের সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে মোমো আর ওমলেটও। সেখানে সকলের জন্য মোমোর অর্ডার দেওয়া হল।
সাহসিনী
'হ্যাঁ, আমার কোনও অমত নেই।' হাসল অরুণাংশু, ‘এই কথাটাই আমার জানবার দরকার ছিল।
বাফের বিনিয়োগ সাহিত্য
তাৎক্ষণিক প্রাপ্তির চিন্তা না করে দীর্ঘ মেয়াদে চিন্তা করা উচিত।