হোমিওপ্যাথিতে তিল, আঁচিল, কর্ন, ফোঁড়া

লিখেছেন পি সি এম এইচ হসপিটাল অ্যান্ড কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ আশিষকুমার শাসমল

নখের অসুখ নখ মেয়েদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ নখের উপর নানারকম নেলপলিশ এবং এমন আবার বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী বাড়িয়ে তোলে নারী সৌন্দর্য। আর সেই সৌন্দর্য যদি হারিয়ে যায় বিভিন্ন রকম নখের অসুখে তখন সবাই ডিপ্রেশনে ভোগে।

হোমিওপ্যাথিক ওষুধে আছে এর সমাধান। সাধারণত যে সমস্ত সাধারণ নখের অসুখগুলি দেখা যায় সেগুলি হল— নখকুনি নখের কোনা বাইরের দিকে বড় না হয়ে চামড়ার ভেতরের দিকে বাড়তে থাকলে তাকে নখকুনি বলে। কেন হয় • আঁটসাঁট জুতো পরলে। • ভুল নিয়মে নখ কাটলে। • নখে আঘাত লাগলে। • বেশি ঘাম হলে।

লক্ষণ নখের অংশ চামড়ার ভেতরে গেলে, ফুলে উঠে ব্যথা হয়, পুঁজ জমে এবং রক্ত বের হতে পারে। চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথিতে খুবই ভালো ওষুধ আছে। যেমন— সাইলিসিয়া গ্রাফাইটিস, ওসমিয়াম, অ্যান্টিম ক্রড, মেডোরিনাম ইত্যাদি। তবে— ম্যাগনেটিস পোলাস অস্ট্রেলস ওষুধটি খুবই কার্যকরী।

নখ হলুদ হয়ে যাওয়া সাধারণ নখের ডগায় সাদা এবং হলুদ ছোপ হিসেবে শুরু হয়। সমস্যাটা শুরুতে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই না। আসলে এটা ছত্রাকের সংক্রমণ। সংক্রমণ যত গভীর হয় নখের রং আরও বিবর্ণ হয় এবং ভেঙে যেতে পারে।

কারণ • পায়ে রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া • পায়ের নখে নোংরা ময়লা জল দীর্ঘদিন ধরে লাগলে। • হাতে পায়ে অতিরিক্ত ঘাম হলে।

চিকিৎসা: এই চিকিৎসা দীর্ঘদিনের হোমিওপ্যাথি ওষুধ যেমন— সালফার, সিতিলিনাম, সাইলিসিয়া সোরিনাম, সাইকোটিক কম্পাইন্ড, মরগ্যান ইত্যাদি লক্ষণ অনুযায়ী ভালো কাজ দেয়। ক্যানডিডা অ্যালবিকানস ২০০ ওষুধটি সাধারণভাবে ব্যবহার করতে পারেন।